ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

ধেয়ে আসছে ‘ফণি’, সাগরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

নিউজ ডেস্ক ::

নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ হিসেবে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এরইমধ্যে গভীর সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি ক্রমেই উপকূলের দিকে আসছে। এই অবস্থায় পূর্বাভাস মিলছে, ১৮টি জেলা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ উঠতে পারে ৮০ কিলোমিটারেরও ওপরে।

এটি শনিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ নিয়ে বাংলাদেশের উপকূলবাসীর জন্য শঙ্কার তেমন কিছু আপাতত দেখতে পাচ্ছে না আবহাওয়া অধিদফতর। এখন পর্যন্ত যে এটির যে অভিমুখ, সেটি ভারতের উপকূল অতিক্রম করেই শান্ত হবে বলে মনে হচ্ছে।

তবে শঙ্কা দেখা দিয়েছে কালবৈশাখী ঝড় নিয়ে। আবহাওয়া অফিস রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৫টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলেছে, ১৮টি জেলা ও তার আশেপাশের এলাকায় কালবৈশাখী ‘তাণ্ডব’ চালিয়ে যেতে পারে।

পাঠকের মতামত: